|
সুযোগ-সুবিধাসমূহ
|
||
মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন, হাফেজ-ক্বারীগণকে উচ্চতর দ্বীনি শিক্ষার পাশা-পাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক বিষয়ে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ (যমন- ইসলামিয়াত, প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, কৃষি ও বনায়ন, প্রাণী সম্পদ পালন ও মৎস্য চাষ, বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি, পরিবেশ ও সামজিক উন্নয়ন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচিতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ও পরিচিতি, ব্যবহারিক ও মৌখিক। এছাড়া, উক্ত বিষয়াদির মধ্যে রয়েছে, আদর্শ পরিবার গঠন, প্রজনন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, নারী অধিকার, নারী-পুরম্নষের সামাজিক বৈষম্য দূরীকরণ, নারী ও শিশু পাচাররোধ, এইচআইভি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং দেশের দুর্নীতি বিরোধী সামাজিক আন্দোলন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, মদ-জুয়া ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য ভূমিকা রাখার মত সচেতন ও যোগ্য করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। ১। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে। ২। স্ব-হস্তে লিখিত আবেদন ও নিমণলেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে সংযুক্ত করতে হবে। (ক) বয়সসীমা ২০-৫০ বছর এবং সুস্থ ও সবল দেহের অধিকারী হতে হবে এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। (খ) শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যুনতম দাখিল বা সমমান মাদ্রাসা পরীক্ষায় পাশ (হাফেজ ও ক্বারীদের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষায় ভাল জ্ঞান থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য)। (গ) শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। তবে চূড়ান্ত বাছাইয়ের সময় সকল শিক্ষাগত সনদের মূলকপি, সনদ না পেয়ে থাকলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মূল প্রশংসাপত্র কমিটির নিকট উপস্থাপন করতে হবে। (ঘ) স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক ইমামতির স্বপক্ষে প্রদত্ত প্রমাণপত্র। (ঙ) জেলা কার্যালয় কর্তৃক ইমামতিতে নিয়োজিত আছেন তা নিশ্চিত হয়ে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হওয়ার পর চূড়ামত্ম বাছাই হওয়া সাপেক্ষে জেলা কার্যালয় থেকে সরবরাহকৃত নির্ধারিত ফরমে মসজিদ কমিটির সভাপতি/সেক্রেটারীর নিকট থেকে ৪৫ দিনের ছুটির অনুমোদনপত্র দাখিল করতে হবে এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে হোস্টেলে অবস্থান করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ইমামদের ক্ষেত্রে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিপত্র জমা দিতে হবে। (চ) এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি দরখাস্তের সাথে জমা দিতে হবে, এক কপি পাসপোর্ট সাইজ ও দুই কপি ষ্ট্যাম্প সাইজ ছবি সংশিস্নষ্ট ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে চূড়ান্ত ভর্তির সময় দিতে হবে। অসম্পূর্ণ আবেদনপত্র বাতিলযোগ্য। (ছ) বিনামূল্যে ভর্তির ফরম সরবরাহ করা হয় এবং ভর্তি হওয়ার জন্য কোন ফি বা বিনিময় দিতে হয় না। তবে ইমামদের কল্যাণে গঠিত ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টে মাসিক ১০/- টাকা ফি দিয়ে ট্রাস্টের সদস্য পদ লাভ করতে পারেন। (জ) একাডেমীর সংশিস্নষ্ট কেন্দ্রে বা বিভাগীয়/জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য কোন প্রকার টি.এ/ডি.এ প্রদান করা হবে না। |
১। প্রতি ইমামকে ৪৫০/- টাকা হারে দৈনিক ভাতা ও দূরত্ব অনুযায়ী যাতায়াত ভাতা প্রদান করা হয়। ২। বিনামূল্যে আবাসিক ব্যবস্থা। ৩। বিনামূল্যে ইফা. কর্তৃক প্রকাশিত তরজমাসহ পবিত্র কুরআন, পাঠ্যপুসত্মক, প্রাথমিক চিকিৎসার ঔষধ ও সরঞ্জামাদি, পাঠ্য সিলেবাস, ব্যাগ ও সনদপত্র দেয়া হয়। ৪। প্রশিক্ষণ পরবর্তী সময়ে শ্রেষ্ঠ ইমাম ও খামারীদের উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে পুরষ্কৃত করা হয়। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস